মোঃ আরিয়ান আরিফ:
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে নিরাপত্তা বেষ্টনী ভেঙে জোরপূর্বক প্রবেশ করে হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ভোলায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে যুব সমাজ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ভোলা প্রেসক্লাব থেকে মিছিলটি শুরু করে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এসময় বিক্ষোভকারীরা ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা, ভারতীয় আগ্রাসন, রুখে দাও ইত্যাদি স্লোগান দেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত বাংলাদেশে তার আধিপত্যবাদ বিস্তারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। পতিত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার শাসনামলে ভারত তার আধিপত্যবাদের শেকড় অনেক গভীরে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়। কিন্তু গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতা ভারতীয় আধিপত্যবাদ উপড়ে ফেলেছে। আমরা অতীতে সীমান্তে ফেলানী হত্যা, স্বর্ণা দাসকে হত্যা করার ঘটনা দেখেছি। ভারতবিরোধী কথা বলায় আবরার ফাহাদকে ছাত্রলীগ নৃশংসভাবে খুন করেছিল। ইসকনের সন্ত্রাসীরা আইনজীবী আলিফকে খুন করেছে।
বক্তারা আরো বলেন, বাংলাদেশ ধর্মীয়ভাবে শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে বসবাস করে। যে দেশে সংখ্যালঘুদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন করা হয় তারা দেয় আমাদের শান্তির বার্তা। পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমারা বাংলাদেশি, আমরা সবাই মিলেমিশে বসবাস করি। ভারতের দাদাগিরি অর্থাৎ ভারতীয়দের আধিপত্য আর বাংলাদেশে চলবে না। ভারতীয় কোনো ষড়যন্ত্র বাংলার মাটিতে ঠাই পাবে না।
উল্লেখ্য, সোমবার ভারতের উত্তর–পূর্বাঞ্চলীয় ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা হয়েছে। হিন্দু সংঘর্ষ সমিতি নামের একটি সংগঠনের সমর্থকেরা এ হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে। ঘটনাটিকে ‘দুঃখজনক’ বলে বর্ণনা করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
You cannot copy content of this page