ভোলা প্রতিনিধি।
জাবেদ এর প্রতারনায় নি:স্ব হবে আর কত জন! এমনই প্রশ্ন এখন ভোলার মানুষের কাছে। জাবেদ ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের শাহে আলম চকিদার এর ছেলে। পড়াশোনা বেশি না করেলও তবে প্রতারনায় বেশ পটু। কিভাবে মানুষকে পটাতে হবে তা বেশ রপ্ত তার কাছে। মিস্টি মিষ্টি কথা শেষে বিনিয়োগের নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা পয়সা নিয়ে তা পুরোটাই প্রতারনা করে হজম করে ফেলে। সেই টাকা ফেরত চাইতে গেলে কাজে লোকসান দেখিয়ে বিনিয়োগকারীদের নিস্ব করে দেয়। আবার বিনিয়োগকারীদের নামে মামলা দিয়েও নগদ টাকা ও কাজের লাভের অংশ না দেয়ার ফন্দি আকে। কখনো স্ত্রী আবার কখনো ভাইকে বাদি করে মানুষকে হয়রানি করে প্রতারক জাবেদ। এভাবেই প্রতারক জাবেদ এর হাতে নিস্ব হয়েছেন এমন অনেকের সাথে কথা বলে এমন তথ্য জানা যায়।
বাপ্তা এলাকার বাসিন্দা নাদিম (৩০) ০১৭৪০৫৮০০৪৬। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে একটি চাকুরি করে। বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে নাদিম এর স্ত্রীর সর্ন অলংকার বিক্রি করে ঠিকাদারিতে পার্টনার করে প্রতারক জাবেদ। কাজে লোকসান দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় তার টাকা। মূল চালান এর টাকাই ফেরত পায়নি আজও অবদি। বালু ও সিমেন্ট ব্যাবসায়ী রিয়াজ মাতাব্বর ০১৭১২৩৯৩৯৮৩। একজন সফল ব্যবসায়ী। ঠিকাদারী কাজের পার্টনার করে তার কাছ থেকে নগদ টাকা ও রট, বালু, সিমেন্ট নিয়েছে। আজও সেই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা না ফেরত দিয়ে মহসিন নাগর এর নামে লইসেন্স থেকে বিল তুলে খেয়ে ফেলেছে প্রতারক জাবেদ।
জানা যায়, তছির গোলদার (৫৫)। ০১৭৮৮৫৯২৩৫৮ তার নিজ এলাকার বাসিন্ধা। ভালো লাভের কথা বলে ২০১০ সালের দিকে ঠিকাদারি কাজের জন্য টাকা নেয় প্রতারক জাবেদ। আজ অবদি সেই টাকা দেয়ার কোন খবর নেই। এ যাবত কয়েক জোরা জুতা ক্ষয় হয়ে গিয়েছে, টাকা পাবে কিনা তা আল্লাহ জানেন। কামাল বেপারী (৪০) , ০১৭২০ ৯৭০৮২৬ পেশায় একজন মাছের আড়ৎদার। ২০১৪ এর দিকে ঠিকাদারির কথা বলে টাকা নিয়েছে প্রতারক জাবেদ। পরে ধনিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদ হোসেন কবিরসহ শালীশের পরও আজও টাকা দেয়া খরব নেই।
প্রতারক জাবেদ এর হাতে নিস্ব রুবেল। ভোলা সদর উপজেলার পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের পাকার মাথা মৌলভী হাট মাদ্রাসার সামনের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিনটি বিদ্যালয়ের এলজিআরডির বাউন্ডারি ওয়াল এর একটি ঠিকাদারি কাজ কাজ করে আজ অবদি লাভের অংশ পায়নি তিনি। বরং তাকে হত্যা করার জন্য একাধিক সন্ত্রাসী দিয়ে হুমকি দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিক এখন জীবন নিয়ে মরনের হুমকিতে আছে। এদিকে ঠিকাদারি কাজের বিলের টাকা মহসিন নাগর লাইসেন্স দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়েছে প্রতারক জাবেদ, তার বাকি অংশীদার রিয়াজ মাতাব্বরসহ কারো টাকাই প্রতারক জাবেদ প্রদান করেনি। ভুক্তভোগি ও তাদের পরিবারের সদস্য ও শালীশদারের সাথে কথা বলে জানা যায়।
জাবেদ এর প্রতারনার ফিরিস্তি তুললে আরো অনেক রয়েছে বলে এলাকায় খোজ করে জানা যায়। কখনো বেশি লাভের প্রলোভন দেখিয়ে, কখনো ঠিকাদারি কাজের পার্টনার করে, আবার কখনো কাজের খরচের নামে টাকা লুটেপুটে খেয়ে কাজে লোকসান দেখিয়ে এবার বিনিয়োগকারীদের নিস্ব করে দেয়াই প্রতারক জাবেদ এর কাজ। তবে তার রয়েছে এক শক্তিশালী সিন্ডিকেট। কিলার গ্রুপ এর সদস্য রয়েছে জাবেদ এর গ্রুপ এ। কখনো আইনশৃঙ্খলা বাহীনির পরিচয়ে খুন, গুম করবে বলে হুমকি ধাকমি দেয়া হয় তার সিন্ডিকেট এর মাধ্যমে। কখনো বিভিন্ন নেতাদের পরিচয় দিয়ে হুমকি। এভাবেই চলছে প্রতারক জাবেদ এর প্রতারনার রমরমা ব্যাবসা।
তবে এ বিষয়ে জাবেদ এর সাথে কথা বলার চেস্টা করা হয় একাধিক ভাবে। তবে অনেকের মতে পালাতক রয়েছে। তার দুই টি মোবাইল নাম্বার ০১৭৯৫৫-৪০৫৫৫ ও ০১৭৩৬-৫৪৫৫৯৭ নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও যোগাযোগ করা যায়নি।
You cannot copy content of this page