মোঃ আরিয়ান আরিফ:
বর্ণাঢ্য র্যালি ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে ভোলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে শহরের ভোলা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সামনে থেকে একটি বর্নাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মুনতাসির আলম রবিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি জাকির হোসেন মনির, লুকু চৌধুরী,মীর মোস্তাফিজুর রহমান রনি, এবিএস সালাম,যুগ্ন সম্পাদক কামাল মোল্লা, শফিক, দপ্তর সম্পাদক হারুন অর রশিদ সুমন, ভোলা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নাহিয়ান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রমুখ
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন আলাউদ্দিন, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবাহক মেহেদী হাসান, মঞ্জুর, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের নেতা বশার চৌধুরী, আবুল কাশেম, মোঃ এছাহাক ফরাজী,নাইম শেখ, লিটন, সুমনসহ জেলা, উপজেলা, পৌর ও বিভিন্ন ইউনিয়নে সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আলোচনা সভায় জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি মুনতাসির আলম রবিন চৌধুরী বলেন, ২০২২ সালের ৩১ জুলাই ভোলা জেলা বিএনপি’র আয়োজনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বিনা উস্কানিতে পুলিশ হঠাৎ লাঠিচার্জ ও নির্বিচারে নেতাকর্মীর উপর গুলিবর্ষণ করেন। এসময় ভোলা সর্বপ্রথম পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেচ্ছাসেবক দলের নেতা আব্দুর রহিম ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। তাদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না। খুনি হাসিনার পতন হয়েছে । দেশ আজ স্বাধীন । স্বৈরশাষক হাসিনাকে দেশে এনে দ্রুত বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে । সেই সাথে আরো যারা এ দেশকে চুষে খেয়েছে, অর্থ পাচার করেছে, ছাত্রদের উপর গুলি চালিয়েছে তাদের বিচার খুব তাড়াতাড়ি নিশ্চিত করতে হবে ।
বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এদেশে সকল ধর্মের, বর্ণের, গোত্রের লোকজন, শান্তিতে বসবাস ও নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছে। ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে কেউ যেন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে তার জন্য সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সতর্ক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন এবং তৃণমূল পর্যায়ে দলকে সুসংগঠিত করার জন্য সকল নেতাকর্মীকে আন্তরিকতার সহিত কাজ করার আহ্বান জানান।
You cannot copy content of this page