এইচ এম জাকির।।
টানা তিন দিন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে অবশেষে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নুরে-আলম।
বুধবার দুপুর তিনটায় ঢাকায় একটি হাসপাতালে লাইভ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় ২ জনের প্রাণ গেল।বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে, গ্যাস, বিদ্যুতসহ নিত্য পন্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি নানামুখী অব্যবস্থাপনার প্রতিবাদে ৩১ জুলাই বেলা ১১ টায় ভোলা জেলা বিএনপি প্রতিবাদ সমাবেশ এবং বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে।
শহরের কালীনাথ রায়ের বাজার এলাকায় জেলা বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ শেষে মিছিল করতে রাস্তায় নামে দলীয় নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পুলিশের সাথে শুরু হয় সংঘর্ষ। মুহুর্মুহু টিয়ারশেল রাবার বুলেটে পরিণত হয় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৩০ রাউন্ড টিআরসেল ও ১৬৫ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে বহু নেতা-কর্মী আহত হওয়ার পাশাপাশি নিহত হয় দক্ষিন দিঘলদী ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের হারেছ মাতব্বরের ছেলে স্বচ্ছাসেবকদল নেতা আব্দুর রহিম। সে সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ গুরুত্বর আহত ভোলা জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমকে ভোলা হাসপাতাল নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে তাকে প্রথমে বরিশাল সেবাচিমে পাঠানো হয়। সেখানকার ডাক্তাররা ব্যার্থ হয়ে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তথক্ষনিক ঢাকায় পাঠান।
৩দিন হাসপাতালে লাইভসাপর্টে থাকার পর ৩ আগস্ট বুধবার বেলা ৩ টার কিছুক্ষন পর ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এদিকে ছাত্রদল সভাপতি নূরে আলমের মৃত্যুর খবরে তার পরিবারসহ পুরো ভোলা জেলা জুড়ে নেমে এসেছে শোকের মাতম।
তার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুর জন্য পুলিশের কর্মকান্ড কে দায়ী করে ভোলা জেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব গোলাম নবী আলমগীর বলেন, ভোলা একটি শান্তিপূর্ণ জেলা। এখানে আওয়ামীলীগ বিএনপিসহ সকল দলে মধ্যেই একটি শান্তিপূর্ণ ও সহাবস্থানে বিরাজ করছে। শুধুমাত্র ভোলাকে অশান্ত করার জন্যই পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই ধরণের ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আমাদের মাঝ থেকে কেড়ে নিল তরতাজা দুটি প্রাণ। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
Leave a Reply