স্টাফ রিপোর্টার:
ভারতের ডুম্বুর ও গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশে বন্যা সৃষ্টির প্রতিবাদে ভোলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ভোলা প্রেসক্লারের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। এ সময় দিল্লি না ঢাকা? ঢাকা ঢাকা-সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।
বিক্ষোভ সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারত জাতিসঙ্ঘকে মানে না, আন্তর্জাতিক নদী কমিশনের আইন মানে না, প্রতিবেশীর অধিকার দিতে জানে না। আমরা চাই, বাংলাদেশের উজানে ভারতের সবকটি বাঁধ প্রত্যাহার করা হোক। বর্ষার সময় তারা বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদের ডুবিয়ে মারে। এই ষড়যন্ত্র বন্ধ হোক। আমরা জাতিসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। শান্তিতে নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমাদের প্রধান উপদেষ্টা। আমরা জানি জাতিসঙ্ঘকে তিনি বললে এই নদী সমস্যা সমাধান হবে।
তারা আরো বলেন, ভারত, চীন, নেপাল ও ভুটানকে আন্তর্জাতিক নদী কনভেনশনে স্বাক্ষর করতে আহ্বান করছি। ভারত যদি এই কনভেনশনে স্বাক্ষর না করে, আমরা ফারাক্কা লং মার্চের মতো আরো একটি লং মার্চ করবো। শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ভারত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শহীদ আবরার আওয়াজ তুলেছিল। তাকে সাবেক ফ্যাসিস্ট হাসিনার হাতে জীবন দিতে হয়েছে।
এখন সরকার রক্তের বিনিময়ে অর্জিত ছাত্র-জনতার সরকার। দিল্লি আপনার আধিপত্য-আগ্রাসন ভুলে যান। ফ্যাসিস্ট হাসিনার সময় শেষ হয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারতের আধিপত্য চললে বাংলাদেশের জনগণও আপনাদের প্রত্যাখ্যান করবে। বন্ধুত্ব হবে ন্যায্যতা, সমতা, প্রভুত্বের ভিত্তিতে নয়। অবিলম্বে এসব নদীর বাঁধ গুড়িয়ে ফেলতে হবে। আন্তর্জাতিক নদীতে বাঁধ চলবে না।
You cannot copy content of this page