তজুমদ্দিন প্রতিনিধিঃ ভোলার তজুমদ্দিনে আওয়ামীলীগের সাবেক এবং বর্তমান দুই চেয়ারম্যানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে একজন গুলিবিদ্ধসহ আহত হয়েছেন ১০ জন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যান তজুমুদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। রোববার (২৫ জুন) উপজেলার চাচঢ়া ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিন চাচঢ়া আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ওই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের বর্তমান চেয়ারম্যান আবু তাহের গ্রুপের সাথে ও একই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সাবেক রিয়াদ হোসেন হান্নান গ্রুপের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তজুমুদ্দিন থানা পুলিশ। পরে কয়েক ঘন্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও এখনো ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
চাচড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের মিয়া জানান, গেলো শনিবার লালমোহন উপজেলার হরিগঞ্জ বাজারের আওয়ামীলীগ অফিসে ঘটে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা। এঘটনায় জড়িতরা চাচঢ়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াদ হোসেন হান্নানের বাসায় অবস্থান নেয়। বিষয়টি স্থানীয় আওয়ামীলীগ’র নেতাকর্মিরা প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে দেখা দেয় চরম উত্তেজনা।
এছাড়া স্থানীয়দের পক্ষ থেকে জানা যায়, রবিবার দুপুর আড়াইটায় চাঁচড়ার ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতি মনির মিয়ার মেয়ে ও স্কুল শিক্ষিকা মোহনা আক্তার রিক্সা যোগে বাসায় যাওয়ার পথে হান্নান চেয়ারম্যানের সমর্থকরা তাকে গতিরোধ করে এক পর্যায়ে তাকে লাঞ্চিত করেছে।
এসব ঘটনাকে কেন্দ্র করেই সরকার দলের সাবেক এবং বর্তমান দুই চেয়াম্যানের সমর্থকরা জড়িয়ে পড়ে ভয়াবহ সংঘর্ষে। এক পর্যায়ে হান্নান চেয়ারম্যানের সমর্থকরা রাস্তায় গাছ ফেলে যানবাহন চলাচল সহ পুরো রাস্তা অবরুদ্ধ করে দেয়। এ সময় পূর্ব থেকেই হান্নান চেয়ারম্যানের বাড়িতে অবস্থানরত বহিরাগত লোকজনও ঘটনাস্থলে আসার সাথেই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করে।
এসময় দুই চেয়ারম্যানের লোকজনের মধ্যে চলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ইট পাটকেল নিক্ষেপ। একপর্যায়ে শুরু হয় গোলাগুলি। এই সময় প্রতিপক্ষের গুলিতে কাদের পন্ডিতের ছেলে নাজিম উদ্দিন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়াও আব্বাস মোল্লা (৪৫), তারেকুর রহমান (৩২), মতিন (৩০), কামরুল ইসলাম (২৮) সহ আহত হয় আরো ১০ জন। স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে তজুমদ্দিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করান। তাদের মধ্যে আহত আব্বাস ও গুলিবিদ্ধ নাজিমের অবস্থা আশঙ্কা জনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে ভোলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
এদিকে সংঘর্ষের ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান তজুমুদ্দিন থানা পুলিশ। তারা কয়েক ঘণ্টা চেষ্টার পর পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক কিছুটা স্বাভাবিক করতে পারলেও এখনো পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
You cannot copy content of this page