মোঃ আরিয়ান আরিফ:
ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসু দাস কর্তৃক মুসলমানদের প্রাণ প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে কুরুচিপূর্ন ও মা আয়েশা (রাঃ) নিয়ে অশ্লীল মন্তব্যের প্রতিবাদে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ভোলায় প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ। শুক্রবার ( ২৯ মার্চ) বাদ জুম্মা শহরের হাটখোলা জামে মসজিদ চত্বরে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মুসলমানদের প্রাণের স্পন্দন আখেরী নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ও মা আয়েশা (রাঃ) কে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হচ্ছে আর সেটি বার বার আমাদের ভোলায় হচ্ছে। ভোলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চান না তাই এখনও হিন্দু মুসলিমসহ অন্যান সকল ধর্মের মানুষ একত্রে শান্তিতে বসবাস করতে পারছে। কোনো কুচক্রী মহল ভোলার মানুষের এই সাম্প্রদায়িক বন্ধন নষ্ট করতে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
এর আগে ভোলার বোরহানউদ্দিন, ভোলা সদর, মনপুরাও মহানবীকে কটূক্তি করা হয়েছে কিন্তু কটূক্তিকারীর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ায় চক্রান্তকারীরা ফের মহানবী ও ইসলাম ধর্মকে বার বার অবমাননা করার সাহস পাচ্ছে। তাই আল্লাহর রাসুল (সা.) ও ইসলাম ধর্মকে অবমাননাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড রেখে সংসদে আইন পাশ করার দাবি জানান বক্তারা। এছাড়া ইসকনকে হিন্দু সম্প্রদায়ের জঙ্গি সংগঠন আখ্যায়িত করে বক্তারা বলেন এই সংগঠনের কাজই হলো যেখানে সেখানে সাম্প্রদায়য়িক দাঙ্গা সৃষ্টি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা। তাই উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন ইসকনের সকল কার্যক্রম স্থানীয়ভাবে বন্ধ করার দাবি জানা বক্তারা।ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার শম্ভুপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা বাসু দাস মহানবীকে কু-রুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় তার সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মুফতি ইয়াসিন নবীপুরীর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ভোলা জেলা উত্তর শাখার সভাপতি মাওলানা আতাউর রহমান মমতাজি, সেক্রেটারি মাওলানা তরিকুল ইসলাম ,ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় তথ্য গবেষণা ও আইন বিষয়ক সম্পাদক সুলতান মাহমুদ ,মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা ইউসুফ আদনান এইচ এম ইব্রাহিম, মাওলানা শোয়াইব আহমদ,মাওলানা আক্তার হোসেন, মাওলানা নুরুল আমিন আশরাফী, মাওলানা ইসরাফিল আলম প্রমুখ।
পরে প্রতিবাদ সমাবেশ শেষে হাটখোলা জামে মসজিদ চত্বর থেকে একটি বিশাল বিক্ষোভ বের করা হয় মিছিলটি নতুন বাজার চত্বরে এসে শেষ হয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে ও বিক্ষোভ মিছিলে কয়েক হাজার মুসল্লি, মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লেকার্ড নিয়ে অংশগ্রহণ করেন।
You cannot copy content of this page