রোববার (২০ আগস্ট) সকালে চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগের ১০৪ নং কক্ষে ঘটে যাওয়া এমনই এক ন্যাক্কারজনক কর্মকাণ্ড নিয়ে চরফ্যাশন উপজেলা সহ পুরো জেলা জুড়ে বইছে সমালোচনার ঝড়।
মারধরের শিকার যুবক জাকির হোসেন জানান, সকালে তিনি তার অসুস্থ মাকে চিকিৎসা দিতে নিয়ে যান চরফ্যাসন হাসপাতালের জরুরী বিভাগে। ওই সময় সেখানে কর্তব্যরত ছিলেন, অভিযুক্ত চিকিৎসক হোসাইন শাওনের স্ত্রী তাসপিয়া মুন। জরুরী বিভাগ থেকে ভর্তি স্লিপ নিয়ে ১০৪ নং কক্ষে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ তাসপিয়া মুন রোগী না দেখেই উল্টো কয়েকটি পরিক্ষা লিখে দিয়ে তার পছন্দের ডায়গনস্টিক সেন্টার থেকে সেগুলো টেস্ট করে নিয়ে আসার জন্য বলেন ।
কিন্তু ভুক্তভোগী জাকিরের হাতে ওই পরিমাণ টাকা পয়সা না থাকায় সে চিকিৎসকের কথা না শুনে আগে তার বৃদ্ধ মাকে প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য চিকিৎসক তাসপিয়া মুনকে অনুরোধ করেন। তাতে করেই তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন চিকিৎসক তাসফিয়া। এক পর্যায়ে তিনি রাগান্মিত হয়ে যান এবং পরিক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া রোগী দেখতে পারবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। এ নিয়ে রোগী এবং চিকিৎসকের মাঝে কিছুটা বাকবিতান্ডা হয়। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে ছুটে আসেন চিকিৎসক তাসফিয়ার স্বামী অপর চিকিৎসক হোসাইন শাওন। সেখান থেকে রোগীর স্বজন জাকিরকে জরুরী বিভাগে এনে কক্ষের মধ্যেই চিকিৎসক হোসাইন শাওনসহ ওই রুপালী ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের কয়েকজন দালাল চক্র একত্রিত হয়ে জাকিরকে এলোপাতারী মারধর করেন। মারধরের একপর্যায়ে সে ফ্লোরে লুটে পড়েন। এরপরও চিকিৎসক ও দালাল চক্র ক্ষান্ত হননি। তাকে মারধরের পর দীর্ঘ সময় কক্ষে আটকে রেখে থানায় খবর দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
যদিও পরবর্তীতে ওই ডাক্তারের কাছে কাকুতি মিনতি করে ক্ষমা চাওয়ার পর অবশেষে তার কাছ থেকে মুছলেখা নিয়ে থানা থেকে জাকিরকে ছেড়ে দেয়া হয়।
এদিকে ঘটনার পরপরই বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে পড়লে ঘটনাটি নিয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে শুরু হয় সমালোচনার ঝড়। হাসপাতালে আসা ভুক্তভোগী জাকির সহ বিভিন্ন রোগীরা ঘটনাটিকে নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে অনতি বিলম্বে এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান।